শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৪০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ই-কণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক:: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের চাহিদা মোতাবেক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের নিশ্চয়তা দিয়েছে। প্রতি বছর বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা এবং ডাল আমদানি করে থাকে। অনেক সময় ভারত হঠাৎ করে পণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করে। এর ফলে বাংলাদেশকে সমস্যায় পরতে হয়। ভারত সরকার এ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে বার্ষিক কোটা নির্ধারণ করতে সম্মত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তাঁর সম্প্রতি ভারত সফরের উপর প্রেস ব্রিফিং এর সময় এ সব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
টিপু মুনশি বলেন, বেশ কয়েক বছরের আমদানি-রপ্তানির তথ্য পর্যালোচনা করে এ সকল পণ্যের বার্ষিক পরিমান নির্ধারণ করা হবে। বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য পাটজাত সামগ্রী ভারতে রপ্তানির ক্ষেত্রে এন্টি ডাম্পিং ডিউটি আরোপ করেছে। এ ডিউটি প্রত্যাহারের বিষয়ে ভারত সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সেপা) নামে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য একমত হয়েছিলেন। সেটা যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পাদন করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করে একমত হওয়া গেছে। আশা করা যায়, অল্প সময়ের মধ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষর করা সম্ভব হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক ফোরামে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদান এবং বিভিন্ন প্রকার শুল্ক /অশুল্ক বাধা অপসারণের মাধ্যমে বাণিজ্য সহজিকরণ, ভারত হতে উচ্চ ফলনশীল রাবার ক্লোন আমদানি, ব্যবসায়ীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ভিসা প্রদানের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে, ভারত এ সকল বিষয়ে বাংলাদেশকে আন্তরিক ভাবে সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যে বিনিময় মাধ্যম হিসেবে ডলারের পরিবর্তে ভারতীয় রুপী ব্যবহারের বিষয়ে ভারত প্রস্তাব দিয়েছে।
প্রেস ব্রিফিং এর সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূর মো. মাহবুবুল হক, অতিরিক্ত সচিব (ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক) মো. হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. রহিম খান উপস্থিত ছিলেন।